নিজের হাতে WordPress সাইট তৈরি করুন_ বাংলা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
যদি আপনি নিজে থেকে একটি WordPress ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তাহলে এই সম্পূর্ণ বাংলা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড আপনার জন্য। এখানে প্রতিটি ধাপ সহজ ভাষায় এবং বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে যাতে আপনিও দক্ষভাবে সাইট বানাতে পারেন।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডোমেইন, হোস্টিং, থিম ইন্সটলেশন এবং SEO ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী জানতে চান? তাহলে নিচের সূচিপত্র থেকে যেকোনো অধ্যায় পড়তে শুরু করুন।
📚 সূচিপত্র
- 1. ওয়ার্ডপ্রেস কি?
- 2. ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার পদ্ধতি
- 3. ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলেশন (সিপ্যানেল / অটো ইন্সটলার)
- 4. প্রাথমিক সেটআপ (Site Title, Timezone, Permalink)
- 5. থিম ইন্সটল ও কাস্টোমাইজেশন
- 6. গুরুত্বপূর্ণ প্লাগইন ইনস্টল ও কনফিগারেশন
- 7. মেনু, উইজেট এবং হোমপেজ ডিজাইন
- 8. সাইটের সিকিউরিটি ও ব্যাকআপ
- 9. SEO সেটআপ (Yoast/Rank Math সহ)
- 10. পোস্ট ও পেইজ তৈরি করা
- 11. সাইট কাস্টমাইজেশন টিপস
- 12. অ্যাডসেন্স ও আয় শুরু করার উপায়
- 13. প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- 14. উপসংহার ও পরামর্শ
১. ওয়ার্ডপ্রেস কি?
ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) একটি ওপেন সোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা PHP এবং MySQL দিয়ে তৈরি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট তৈরির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি ব্যবহার করা সহজ, ফ্লেক্সিবল এবং কাস্টোমাইজযোগ্য। ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই একটি ব্লগ, নিউজ পোর্টাল, বিজনেস ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও কিংবা ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারেন, কোন রকম প্রোগ্রামিং জানার প্রয়োজন ছাড়াই।
আরো পড়ুন: Canva দিয়ে ডিজাইন শেখার গাইড
২০০৩ সালে WordPress এর যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি সাধারণ ব্লগিং টুল হিসেবে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি শক্তিশালী ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেটে থাকা প্রায় ৪৩% ওয়েবসাইটই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি। এটি অসংখ্য ফ্রি এবং প্রিমিয়াম থিম ও প্লাগইন অফার করে, যা দিয়ে আপনি নিজের ওয়েবসাইটকে নিজের মতো করে ডিজাইন ও ফিচার দিতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস অত্যন্ত উপযোগী। জনপ্রিয় SEO প্লাগইন যেমন Yoast SEO বা Rank Math এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার কনটেন্টকে গুগলে ভালো র্যাংকে আনতে পারেন। এইসব কারণেই ব্যক্তিগত ব্লগার থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানিও আজ ওয়ার্ডপ্রেসকেই তাদের ওয়েবসাইটের জন্য পছন্দ করছে।
২. ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার পদ্ধতি
একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করতে প্রথম ধাপ হলো একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা। ডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা (যেমন: yourname.com) এবং হোস্টিং হলো সেই সার্ভার যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সব ফাইল সংরক্ষিত থাকে। একটি নির্ভরযোগ্য ডোমেইন ও হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন করাই হলো সফল সাইট তৈরির অন্যতম চাবিকাঠি।
ডোমেইন কেনার জন্য আপনি Namecheap, GoDaddy, Google Domains বা BD Hosting-এর মতো জনপ্রিয় সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত প্রতি বছর ৮–১৫ ডলারের মধ্যে একটি ডোমেইন কিনতে পারবেন। .com, .net, .org ছাড়াও আপনি চাইলে .bd বা অন্যান্য লোকাল ডোমেইনও কিনতে পারেন।
হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমনঃ Speed, Uptime, Customer Support, Backup, SSL ইত্যাদি। বিশ্বস্ত হোস্টিং প্রোভাইডার যেমনঃ Hostinger, SiteGround, Bluehost, কিংবা বাংলাদেশের জন্য ExonHost, AlphaNet ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়। আপনি চাইলে Shared Hosting, Cloud Hosting বা VPS হোস্টিং থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন।
সাধারণত হোস্টিং কেনার সময়ই আপনি ফ্রি ডোমেইন পেতে পারেন। অনেক হোস্টিং কোম্পানি বছরে একবারের জন্য ফ্রি ডোমেইন অফার করে থাকে। তাই হোস্টিং কেনার সময় তাদের অফারগুলো ভালোভাবে যাচাই করে নিন।
আরো পড়ুন: নিজের হাতে ওয়েবসাইট বানানোর সম্পূর্ণ গাইড -কোন কোডিং ছাড়াই!
একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হচ্ছে, আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে Shared Hosting দিয়েই শুরু করা উত্তম। ভবিষ্যতে আপনি সহজেই আপগ্রেড করতে পারবেন। আর ডোমেইন এবং হোস্টিং একসাথে কিনলে সেটআপ প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হয়ে যায়।
৩. ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টলেশন (সিপ্যানেল / অটো ইন্সটলার)
ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার পর আপনার পরবর্তী কাজ হলো ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা। বর্তমানে বেশিরভাগ হোস্টিং প্রোভাইডারই cPanel এর মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার সুবিধা দিয়ে থাকে। এটি একটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি কন্ট্রোল প্যানেল যেখানে আপনি মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই ওয়ার্ডপ্রেস সাইট সেটআপ করতে পারবেন।
সিপ্যানেলে লগইন করার পর “Softaculous Apps Installer” বা “WordPress Manager” অপশন খুঁজে নিন। সেখানে ঢুকে “Install Now” বাটনে ক্লিক করুন। এরপর ডোমেইন সিলেক্ট করুন, সাইটের নাম ও ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড দিয়ে ইনস্টলেশন সম্পন্ন করুন। মাত্র ১–২ মিনিটেই আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি হয়ে যাবে।
যদি আপনার হোস্টিং প্ল্যানে Softaculous না থাকে, তবে আপনি ম্যানুয়ালি ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে পারেন। এজন্য আপনাকে wordpress.org থেকে ওয়ার্ডপ্রেসের zip ফাইল ডাউনলোড করে FTP এর মাধ্যমে সার্ভারে আপলোড করতে হবে। এরপর ডাটাবেজ তৈরি করে wp-config.php ফাইল কনফিগার করতে হবে।
তবে নতুনদের জন্য অটো ইন্সটলারই সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি। এতে টেকনিক্যাল কোনো জটিলতা নেই এবং আপনি দ্রুত কাজ শুরু করতে পারেন। একবার ইনস্টল হয়ে গেলে আপনি yourdomain.com/wp-admin লিংকে গিয়ে লগইন করে আপনার সাইট ম্যানেজ করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, ইনস্টলেশনের সময় একটি শক্তিশালী অ্যাডমিন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, যেন আপনার সাইট সিকিউর থাকে। এছাড়াও SSL সার্টিফিকেট অ্যাক্টিভ থাকলে আপনার সাইট হবে HTTPS নিরাপদ ঠিকানাসহ।
৪. প্রাথমিক সেটআপ (Site Title, Timezone, Permalink)
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি হয়ে গেলে প্রথমেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক সেটআপ করে নেওয়া জরুরি, যাতে আপনার ওয়েবসাইট পরবর্তী ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকে এবং SEO-র জন্য উপযোগী হয়। এই ধাপে আপনি সাইটের নাম, টাইমজোন, এবং পারমালিঙ্ক স্ট্রাকচার ঠিক করবেন।
প্রথমে ড্যাশবোর্ডে লগইন করে Settings » General এ যান। এখানে আপনি আপনার সাইটের Site Title (ওয়েবসাইটের নাম) এবং Tagline (একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ) সেট করতে পারবেন। Site Title হলো আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি, যা সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্রাউজার ট্যাবে দেখা যায়। তাই এটি স্পষ্ট ও ব্র্যান্ড উপযোগী হওয়া উচিত।
এরপর নিচে স্ক্রল করে টাইমজোন সেট করতে হবে। Timezone মেনুতে গিয়ে আপনার লোকাল টাইম অনুযায়ী (যেমন বাংলাদেশের জন্য Asia/Dhaka) সিলেক্ট করুন। এটি সঠিক না হলে আপনার পোস্ট শিডিউল ও সময়ভিত্তিক ফিচারগুলোতে সমস্যা হতে পারে।
এরপর যান Settings » Permalinks সেকশনে। এখানে Post name পারমালিঙ্ক স্টাইল সিলেক্ট করুন, যা SEO এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি। উদাহরণস্বরূপ, yourwebsite.com/sample-post
ধরনের URL গুগল ও ভিজিটরদের কাছে সহজবোধ্য। এটি সাইট র্যাঙ্কিং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এই প্রাথমিক সেটআপগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট একটি পেশাদার ও সংগঠিত কাঠামো পাবে। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ভিত্তি গড়ে উঠবে যা ভবিষ্যতে সাইটের ট্রাফিক ও র্যাঙ্কিং বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
৫. থিম ইন্সটল ও কাস্টোমাইজেশন
একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ডিজাইন নির্ভর করে থিমের উপর। থিম হচ্ছে সেই ফ্রেমওয়ার্ক বা ডিজাইন টেমপ্লেট যা আপনার ওয়েবসাইটের লেআউট, রঙ, ফন্ট এবং বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল উপাদান নির্ধারণ করে। একটি ভালো ও প্রফেশনাল থিম আপনার সাইটকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
থিম ইন্সটল করতে ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড থেকে Appearance » Themes » Add New এ যান। সেখানে আপনি হাজার হাজার ফ্রি থিম দেখতে পাবেন। আপনার প্রয়োজন ও সাইটের ধরন অনুযায়ী একটি থিম নির্বাচন করে "Install" ও "Activate" বাটনে ক্লিক করুন। জনপ্রিয় ফ্রি থিমের মধ্যে Astra, OceanWP, এবং GeneratePress খুবই জনপ্রিয় এবং SEO-ফ্রেন্ডলি।
যদি আপনি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করতে চান, তাহলে ThemeForest, Elegant Themes, বা Kadence-এর মত বিশ্বস্ত সোর্স থেকে থিম কিনতে পারেন। প্রিমিয়াম থিম সাধারণত আরও বেশি ফিচার, দ্রুত লোডিং এবং উন্নত কাস্টোমাইজেশন অপশন দিয়ে থাকে।
থিম অ্যাক্টিভেট করার পর, Appearance » Customize মেনু থেকে আপনার থিম কাস্টোমাইজ করতে পারবেন। এখানে আপনি সাইটের হেডার, ফুটার, কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড, ফন্ট, লোগো, মেনু, উইজেট ইত্যাদি সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন। কিছু থিম Elementor বা Gutenberg এর মতো Page Builder এর সাথে কাস্টোমাইজ করা যায়, যা ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ সুবিধা দেয়।
SEO এর দৃষ্টিকোণ থেকে একটি Responsive (মোবাইল-ফ্রেন্ডলি), Fast Loading, এবং Schema Ready থিম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সাইটের গতি ও মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস গুগল র্যাঙ্কিংয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
৬. গুরুত্বপূর্ণ প্লাগইন ইনস্টল ও কনফিগারেশন
ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো এর প্লাগইন সাপোর্ট। প্লাগইন হচ্ছে এক ধরনের এক্সটেনশন, যা আপনার সাইটে নতুন ফিচার যোগ করে এবং কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যেমন: SEO, নিরাপত্তা, পারফরম্যান্স, কন্ট্যাক্ট ফর্ম, ব্যাকআপ ইত্যাদি কাজ প্লাগইনের মাধ্যমে সহজেই সম্পন্ন করা যায়।
একটি নতুন ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে কিছু অত্যাবশ্যক প্লাগইন ইনস্টল করা দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
- Yoast SEO বা Rank Math: আপনার কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করতে সাহায্য করে।
- WP Super Cache বা LiteSpeed Cache: সাইটের গতি বাড়াতে কাজ করে।
- Wordfence Security: ওয়েবসাইটকে হ্যাকার ও ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত রাখে।
- UpdraftPlus: নিয়মিত ব্যাকআপ নিয়ে রাখে যাতে জরুরি সময়ে রিস্টোর করা যায়।
- Elementor: একটি জনপ্রিয় ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ পেজ বিল্ডার, যা দিয়ে সহজেই প্রফেশনাল ডিজাইন তৈরি করা যায়।
- Contact Form 7: কন্ট্যাক্ট ফর্ম তৈরি করতে ব্যবহারযোগ্য।
প্লাগইন ইনস্টল করার জন্য ড্যাশবোর্ডে যান Plugins » Add New মেনুতে এবং সার্চ বক্সে প্লাগইনের নাম লিখে "Install" ও "Activate" বাটনে ক্লিক করুন। কিছু প্লাগইনের জন্য অতিরিক্ত সেটিংস কনফিগার করতে হয়, যা সাধারণত প্লাগইন ইনস্টল হওয়ার পর সেটিংস মেনুতে চলে আসে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি: তুলনামূলক রিভিউ ও চূড়ান্ত গাইড!
মনে রাখবেন, অপ্রয়োজনীয় ও বেশি সংখ্যক প্লাগইন সাইটকে ধীর করে দিতে পারে। তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ও বিশ্বস্ত প্লাগইনই ইনস্টল করা উচিত। প্লাগইনের রেটিং, রিভিউ এবং সর্বশেষ আপডেটের তারিখ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।
একটি ভাল কনফিগার করা প্লাগইন সিস্টেম আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে নিরাপদ, দ্রুত এবং SEO-ফ্রেন্ডলি করে তুলতে সাহায্য করে। তাই প্রতিটি প্লাগইনের কার্যকারিতা ভালোভাবে বুঝে সেটআপ করুন।
৮. সাইটের সিকিউরিটি ও ব্যাকআপ
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করাই শেষ কথা নয়—সাইটের নিরাপত্তা (Security) নিশ্চিত করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট হ্যাকের শিকার হয় শুধুমাত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে। একইভাবে নিয়মিত ব্যাকআপ না রাখলে হঠাৎ করে ডেটা হারিয়ে যেতে পারে, যা আপনার ব্যবসা বা কনটেন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সাইট সুরক্ষিত রাখতে প্রথমেই একটি শক্তিশালী অ্যাডমিন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। “admin” বা সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে একটি ইউনিক এবং কমপ্লেক্স পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন। এছাড়া লগইন লিমিট এবং ২-স্টেপ অথেন্টিকেশন যোগ করা নিরাপত্তা আরও বাড়াতে সাহায্য করে।
সাইটে Wordfence Security অথবা iThemes Security এর মতো জনপ্রিয় সিকিউরিটি প্লাগইন ব্যবহার করুন। এই প্লাগইনগুলো রিয়েল টাইম ফায়ারওয়াল, লকআউট সিস্টেম, স্ক্যানিং এবং মালওয়্যার সুরক্ষা প্রদান করে। এছাড়া SSL (HTTPS) সার্টিফিকেট অ্যাক্টিভ করা খুবই জরুরি, যা আপনার সাইটকে নিরাপদ ও গুগলের চোখে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
সিকিউরিটির পাশাপাশি নিয়মিত ব্যাকআপ রাখা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য UpdraftPlus, BackWPup, বা Jetpack এর মতো ব্যাকআপ প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে ব্যাকআপ ফাইলগুলো Google Drive, Dropbox বা আপনার ইমেইলে অটোমেটিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন। জরুরি মুহূর্তে সাইট পুনরুদ্ধার করা এতে সহজ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পেতে চান? জেনে নিন সফলতার জন্য জরুরী ১০ টি শর্ত
সর্বশেষ, ওয়ার্ডপ্রেস এবং এর থিম ও প্লাগইনগুলো নিয়মিত আপডেট রাখা অত্যন্ত জরুরি। পুরোনো ভার্সন নিরাপত্তা দুর্বলতা তৈরি করতে পারে। তাই সময়ে সময়ে সাইট চেক করুন এবং আপডেট দিন। আপনার সাইট যদি সুরক্ষিত এবং ব্যাকআপ সহ থাকে, তাহলে সেটি দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত।
৯. SEO সেটআপ (Yoast/Rank Math সহ)
একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করার পর সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনে দৃশ্যমান করতে হলে SEO (Search Engine Optimization) সেটআপ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে SEO কনফিগার করা না থাকলে আপনার পোস্ট গুগলে র্যাঙ্ক করবে না এবং অর্গানিক ভিজিটর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য Yoast SEO এবং Rank Math SEO — এই দুইটি প্লাগইনের মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
Yoast SEO একটি জনপ্রিয় এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি প্লাগইন, যেটি পোস্ট লেখার সময় রিয়েল টাইম SEO বিশ্লেষণ করে, ফোকাস কীওয়ার্ড বসাতে সাহায্য করে এবং মেটা টাইটেল ও মেটা ডিসক্রিপশন কাস্টোমাইজ করার সুবিধা দেয়। ইনস্টল করার পর General Settings থেকে সাইটের SEO সেটআপ সম্পন্ন করে নিন এবং XML Sitemap সক্রিয় করুন, যাতে গুগল আপনার সাইট সহজে ইনডেক্স করতে পারে।
অন্যদিকে, Rank Math SEO তুলনামূলকভাবে আধুনিক এবং অতিরিক্ত ফিচারযুক্ত একটি SEO প্লাগইন। এটি Google Schema Markup, 404 Monitor, Redirection, এবং WooCommerce SEO সাপোর্ট প্রদান করে। এছাড়া Rank Math প্লাগইন ব্যবহার করলে Google Search Console এক্সটেনশন এর মাধ্যমে সরাসরি রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
SEO প্লাগইন সেটআপ করার পর আপনার প্রতিটি পোস্টে Focus Keyword, Slug, Meta Title ও Meta Description সঠিকভাবে যুক্ত করুন। পোস্টের মধ্যে অন্তত একবার কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন, এবং পাঠযোগ্যতা নির্দেশিকা অনুযায়ী প্যারা ভাগ করুন। সাইটের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পেজের SEO নিশ্চিত করা হলে গুগলে ভালো র্যাঙ্ক পাওয়া সহজ হবে।
অবশেষে, আপনার সাইটের XML Sitemap ও Robots.txt ফাইল গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করুন এবং SEO পারফরম্যান্স নিয়মিত মনিটর করুন। সঠিকভাবে SEO সেটআপ করা মানে হচ্ছে আপনার সাইটকে দীর্ঘমেয়াদি সফলতার পথে এগিয়ে নেওয়া।
১০. পোস্ট ও পেইজ তৈরি করা
ওয়ার্ডপ্রেসে কনটেন্ট তৈরি করা হয় মূলত দুই ধরনের মাধ্যমে—পোস্ট (Post) এবং পেইজ (Page)। পোস্ট হলো সাধারণত ব্লগ বা নিউজ ধরনের ধারাবাহিক কনটেন্ট যা তারিখ অনুযায়ী সাজানো হয়। আর পেইজ হলো স্থায়ী কনটেন্ট যেমন “About Us”, “Contact”, “Privacy Policy” ইত্যাদি, যা সাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় এবং প্রায়শই পরিবর্তন হয় না।
নতুন পোস্ট তৈরি করতে ড্যাশবোর্ড থেকে Posts » Add New এ যান। সেখানে একটি এডিটর খুলবে যেখানে আপনি আপনার আর্টিকেল লিখতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন ব্লক এডিটর (Gutenberg) ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট যেমন টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও, লিস্ট, কোট ইত্যাদি ব্লক হিসেবে সাজাতে পারেন। পোস্টের জন্য একটি প্রাসঙ্গিক টাইটেল দিন এবং পারমালিঙ্ক (URL) কাস্টমাইজ করুন।
পোস্ট লেখার সময় অবশ্যই কীওয়ার্ড ফোকাস, মেটা ডিসক্রিপশন, এবং শিরোনাম (Heading Tags) ঠিকমত ব্যবহার করুন, যা SEO-র জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইমেজ ব্যবহার করলে Alt Text দিয়ে SEO ভালো করতে পারেন। পোস্ট সম্পন্ন হলে “Publish” বাটনে ক্লিক করে তা সরাসরি সাইটে প্রকাশ করুন।
পেইজ তৈরি করতে ড্যাশবোর্ড থেকে Pages » Add New এ যান। পেইজগুলোর স্ট্রাকচার সাধারণত পোস্টের মতো হলেও এগুলো সাধারণত স্থায়ী তথ্য বহন করে। একটি পেইজের উদাহরণ হলো “About Us”, যেখানে আপনি আপনার ব্যবসা বা সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত দিতে পারেন। “Contact Us” পেইজে সাধারণত যোগাযোগের ফর্ম বা তথ্য থাকে।
আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে নিয়মিত মানসম্মত পোস্ট এবং পেইজ তৈরি করা ভিজিটর বৃদ্ধি এবং গুগল র্যাঙ্কিং উন্নত করার ক্ষেত্রে সহায়ক। তাই সময়মত নতুন কনটেন্ট আপডেট করার অভ্যাস করুন।
১১. সাইট কাস্টমাইজেশন টিপস
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের কাস্টমাইজেশন আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি সুন্দর ও ইউনিক ডিজাইন ব্যবহারকারীর আগ্রহ বাড়ায় এবং সাইটে ভিজিটরদের দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে সাহায্য করে। সঠিক কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার সাইট দেখতে পেশাদার ও আকর্ষণীয় হয়।
প্রথমে, Appearance » Customize থেকে আপনার থিমের বিভিন্ন অপশন ব্যবহার করে সাইটের লোগো, কালার স্কিম, ফন্ট স্টাইল, হেডার ও ফুটার ডিজাইন পরিবর্তন করুন। এতে আপনার সাইট ব্র্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ইউনিক দেখাবে। কালার নির্বাচন করার সময় আপনার ব্র্যান্ড কালারগুলো ব্যবহার করা উত্তম।
দ্বিতীয়ত, Page Builder প্লাগইন যেমন Elementor বা Beaver Builder ব্যবহার করে পেজের লেআউট এবং ডিজাইন সম্পূর্ণ কাস্টমাইজ করতে পারেন। এতে আপনি ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ করে সহজেই আকর্ষণীয় পেজ তৈরি করতে পারবেন।
এছাড়া, Custom CSS যোগ করার মাধ্যমে থিমের ডিফল্ট ডিজাইন থেকে নিজস্ব স্টাইল তৈরি করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসের Additional CSS সেকশনে এই কোডগুলো লিখে আপনার সাইটের লুক আরও উন্নত করা সম্ভব।
আপনার সাইটের মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস নিশ্চিত করুন। আজকাল অধিকাংশ ভিজিটর মোবাইল থেকে আসে, তাই Responsive ডিজাইন অপরিহার্য। থিম ও কাস্টমাইজেশনের সময় মোবাইল ভিউ চেক করা জরুরি।
সর্বশেষে, সাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অপটিমাইজেশন যেমন ছবি কমপ্রেশন, ক্যাশিং প্লাগইন ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিপ্ট বন্ধ করা উচিত। ভালো স্পিড SEO ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দুইই বাড়ায়।
১২. অ্যাডসেন্স ও আয় শুরু করার উপায়
ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো Google AdSense। এটি গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি প্রতিটি ক্লিক বা ইমপ্রেশন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে সফলভাবে অ্যাডসেন্স থেকে আয় শুরু করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করা দরকার।
আরো পড়ুন: নতুনদের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার সম্পূর্ণ রোডম্যাপ( A to Z গাইড)
প্রথমে আপনার সাইটে মানসম্মত এবং ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করুন। গুগল অ্যাডসেন্স সাধারণত সেসব সাইটে অনুমোদন দেয় যেগুলোতে স্প্যাম নেই এবং যা পাঠকদের জন্য উপযোগী। আপনার সাইটে কমপক্ষে ২০–৩০টি সম্পূর্ণ লেখা পোস্ট থাকা উচিত এবং সেগুলো SEO ফ্রেন্ডলি হওয়া জরুরি।
এরপর Google AdSense এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং আপনার সাইটের ইউআরএল সাবমিট করুন। গুগল আপনার সাইট রিভিউ করবে এবং অনুমোদন দিলে আপনি বিজ্ঞাপন কোড পেয়ে যাবেন। সেই কোড আপনার সাইটে বসিয়ে দিতে হবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।
অ্যাডসেন্স থেকে নিয়মিত আয় পেতে হলে সাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকা খুবই জরুরি। এজন্য ভালো SEO, নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো উচিত। পাশাপাশি, আপনার সাইটে ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং দ্রুত লোডিং স্পিড নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাডসেন্স ছাড়াও আপনি অন্যান্য মাধ্যমেও আয় করতে পারেন, যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি ইত্যাদি। তবে শুরুতে অ্যাডসেন্স থেকে আয় শুরু করাই সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি।
সারসংক্ষেপে, মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি, সাইট অপ্টিমাইজেশন, এবং ধৈর্য ধরে কাজ করলে আপনি অ্যাডসেন্স দিয়ে সফল আয় শুরু করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য আয়ের পথও অন্বেষণ করতে পারবেন।
১৩. প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
১. ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি করতে কি কোনও প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা দরকার?
না, ওয়ার্ডপ্রেস ইউজার-ফ্রেন্ডলি প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান থাকলেই আপনি সহজেই সাইট তৈরি করতে পারবেন। ধাপে ধাপে গাইড অনুসরণ করলে প্রোগ্রামিং জানাও দরকার হয় না।
২. ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনা কতখানি জরুরি?
ডোমেইন ও হোস্টিং হলো ওয়েবসাইটের ঠিকানা ও স্থান। এগুলো ছাড়া আপনার সাইট ইন্টারনেটে দেখা যাবে না। সুতরাং একটি ভালো ডোমেইন এবং নির্ভরযোগ্য হোস্টিং নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ওয়ার্ডপ্রেস থিম কি ধরনের হয় এবং কিভাবে নির্বাচন করব?
ওয়ার্ডপ্রেস থিম হলো সাইটের ডিজাইন এবং লেআউট নির্ধারণকারী টেমপ্লেট। ফ্রি ও প্রিমিয়াম থিম পাওয়া যায়। SEO ফ্রেন্ডলি, Responsive এবং দ্রুত লোডিং থিম বেছে নেওয়া উচিত।
৪. কি কি প্লাগইন ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে অবশ্যই থাকা উচিত?
SEO, সিকিউরিটি, ক্যাশিং, ব্যাকআপ, এবং ফর্ম তৈরির জন্য Yoast SEO, Wordfence, WP Super Cache, UpdraftPlus ও Contact Form 7 প্লাগইন গুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয়।
৫. কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে SEO উন্নত করা যায়?
Yoast SEO বা Rank Math প্লাগইন ব্যবহার করে প্রতিটি পোস্টে ফোকাস কীওয়ার্ড, মেটা টাইটেল ও ডিসক্রিপশন ঠিকঠাক দিতে হবে। ভালো কনটেন্ট তৈরি এবং দ্রুত লোডিং নিশ্চিত করাও জরুরি।
৬. সাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমি কি করব?
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, সিকিউরিটি প্লাগইন ইনস্টল, SSL সার্টিফিকেট অ্যাক্টিভ করা এবং নিয়মিত আপডেট রাখা সাইটের নিরাপত্তা বাড়ায়।
১৪. উপসংহার ও পরামর্শ
ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরি ও পরিচালনা করা যদিও প্রথমে একটু কঠিন মনে হতে পারে, তবে সঠিক নির্দেশনা ও নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে এটি খুব সহজ এবং মজার একটি কাজ হয়ে ওঠে। এই গাইডে উল্লেখিত প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করলে আপনি নিজে থেকে একটি প্রফেশনাল এবং SEO ফ্রেন্ডলি সাইট তৈরি করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: কম খরচে অনলাইন বিজনেস শুরু করার ৫টি উপায়!
গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার সাইটের মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা, নিয়মিত আপডেট রাখা এবং সঠিক SEO কৌশল ব্যবহার করা। এছাড়া সাইটের সুরক্ষা এবং ব্যাকআপ নিয়মিত নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধান করা যায়।
সর্বশেষে, ধৈর্য্য ধরে নিয়মিত কাজ করলে আপনি ওয়েবসাইট থেকে ভালো আয় শুরু করতে সক্ষম হবেন। ইন্টারনেটের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে নিজের ডিজিটাল পরিচিতি গড়ে তুলুন এবং ক্রমাগত শেখার চেষ্টা চালিয়ে যান।
আপনার যাত্রা সফল হোক—শুভকামনা রইল!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url