পড়তে বসলে ঘুম আসে? এই ৭টি টিপস আপনার জীবন বদলে দেবে!
পড়তে বসেছেন, কিন্তু কিছুক্ষণ না যেতেই চোখ ভারী হয়ে আসে? যতই চেষ্টা করুন মনোযোগ ধরে রাখা যাচ্ছে না? এই সমস্যায় ভুগছেন এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম নয়। তবে চিন্তার কিছু নেই! কিছু সহজ পরিবর্তন আর মেন্টাল ট্রিকস জানলে আপনি এই সমস্যাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। এই পোস্টে রয়েছে ৭টি কার্যকরী টিপস, যা আপনার পড়াশোনার ধরন এবং জীবন দুটোই বদলে দিতে পারে!
📘 পেজ সূচিপত্র
১. পড়তে বসলে ঘুম আসে কেন?
অনেকেই পড়তে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন বা চোখ ভারী হয়ে আসে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এর পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। প্রথমত, যখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে একটানা বসে থাকি এবং মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করি, তখন শরীর ও মস্তিষ্ক একটি নিরব অবস্থায় চলে যায়। এই নীরবতা ও স্থিরতা অনেক সময় ঘুমের সংকেত হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে রাতে পড়তে বসলে বা শরীর ক্লান্ত থাকলে এই প্রবণতা আরও বাড়ে।
দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা সঠিক ডায়েট না মানলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ফলে পড়ার সময় ঘুম আসে। তৃতীয়ত, পড়ার পরিবেশ যদি অতিরিক্ত আরামদায়ক হয়—যেমন খুব নরম বালিশে শুয়ে বা হেলান দিয়ে পড়া—তাহলেও মস্তিষ্ক বিশ্রামের অনুভূতি পায় এবং ঘুম চলে আসে। এছাড়াও পড়ার বিষয়বস্তু যদি একঘেয়ে বা কম আগ্রহজনক হয়, তাহলে মনোযোগ হারিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুন: ::কম্পিউটার শিক্ষা:: আধুনিক জীবনে টিকে থাকার অন্যতম হাতিয়ার
সুতরাং, পড়তে বসে ঘুম আসার পেছনে মূলত মনোযোগের অভাব, ক্লান্ত শরীর, ঘুমের ঘাটতি, এবং পড়ার অনুপযুক্ত পরিবেশ দায়ী। এই সমস্যাটি দূর করতে হলে আগে কারণগুলো বুঝে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কিছু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যা আমরা পরবর্তী অংশে আলোচনা করব।
২. পড়ার পরিবেশে পরিবর্তন আনুন
পড়ার সময় ঘুম আসার অন্যতম বড় কারণ হলো অনুপযুক্ত পরিবেশ। যদি আপনি অতিরিক্ত আরামদায়ক পরিবেশে—যেমন বিছানায় শুয়ে বা বালিশে হেলান দিয়ে পড়েন—তাহলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই বিশ্রামের সংকেত পায়। ফলে কিছুক্ষণ পর ঘুম চলে আসে। এজন্য পড়ার পরিবেশ এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে আপনার মন ও শরীর উভয়ই সক্রিয় থাকে।
উপযুক্ত আলো, সঠিক বসার চেয়ার ও টেবিল, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এবং নিরব পরিবেশ একটি ভালো পাঠপরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে। পড়ার ঘরটি যতটা সম্ভব আলাদা ও নিরিবিলি হওয়া উচিত। খুব গরম বা ঠান্ডা পরিবেশেও মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে এবং ঘুমের প্রবণতা বাড়ে। তাই ঘরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
এছাড়া, মাঝে মাঝে পরিবেশে সামান্য পরিবর্তন আনাও কার্যকর হতে পারে। যেমন—ঘরের স্থান পরিবর্তন, নতুন ডেস্কল্যাম্প ব্যবহার, দেয়ালে প্রেরণাদায়ক পোস্টার লাগানো ইত্যাদি। এ ধরনের ছোট ছোট পরিবর্তন মস্তিষ্কে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
সুতরাং, পড়ার সময় ঘুম এড়াতে চাইলে প্রথমেই নিজেকে এমন একটি পরিবেশে বসাতে হবে যা পড়াশোনার উপযোগী, মনোযোগ বাড়ায় এবং ঘুমের ইঙ্গিত না দেয়।
৩. শারীরিক শক্তি ধরে রাখার কৌশল
পড়ার সময় ঘুমিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হলো শরীরের শক্তি হ্রাস পাওয়া বা ক্লান্তিভাব। যদি শরীর দুর্বল থাকে কিংবা পর্যাপ্ত শক্তি না থাকে, তাহলে যে কোনো মনোযোগী কাজ করার সময়ই ঘুম চলে আসতে পারে। এজন্য শারীরিক শক্তি ধরে রাখার কিছু কার্যকর কৌশল জানা জরুরি, যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ সতেজ ও মনোযোগী রাখতে সাহায্য করবে।
প্রথমত, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানিশূন্যতা শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে এবং ঘুমের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয়ত, হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খান, বিশেষ করে পড়ার আগে। ভারী খাবার খেলে শরীর অলস হয়ে পড়ে এবং ঘুম চলে আসে। তৃতীয়ত, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য।
শরীরকে চাঙা রাখতে মাঝেমধ্যে শরীরচর্চাও উপকারী হতে পারে। দিনে অন্তত ১৫–২০ মিনিট হেঁটে বেড়ানো বা হালকা ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে। পড়ার মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করাও ঘুম তাড়াতে কার্যকর।
সঠিক ডায়েট, নিয়মিত বিশ্রাম এবং হালকা শরীরচর্চা এই তিনটি অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে পড়ার সময় শরীরের শক্তি বজায় রাখা সহজ হবে এবং ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
৪. নির্দিষ্ট রুটিন ফলো করুন
একটি সুসংগঠিত ও নিয়মিত রুটিন না থাকলে পড়াশোনার সময় ঘুমের প্রবণতা বেড়ে যায়। আমাদের শরীর ও মস্তিষ্ক অভ্যাসের সাথে মানিয়ে নিতে সময় নেয়, তাই যখন পড়ার নির্দিষ্ট সময় থাকে না বা এলোমেলোভাবে পড়তে বসা হয়, তখন মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে ক্লান্তি ও ঘুম আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করা এবং সেটি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
আরো পড়ুন: BA পড়া শেষ ? সামনে কি অপেক্ষা করছে জানুন_৫টি দারুন ক্যারিয়ার অপশন!
প্রতিদিন একি সময়ে পড়তে বসার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর ও মন স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত হয়ে যায়। সকাল বা সন্ধ্যা—যে সময়টিতে আপনি সবচেয়ে বেশি ফোকাস করতে পারেন, সেই সময়টিকে বেছে নিন। রুটিনে শুধু পড়ার সময় নয়, ঘুম, খাবার ও বিশ্রামের সময়ও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা উচিত, যাতে জীবনের প্রতিটি অংশে একটি ভারসাম্য বজায় থাকে।
রুটিন মানতে শুরু করলে মস্তিষ্ক নিজেই একটি সিগন্যাল পেতে শুরু করে—“এখন পড়ার সময়”, যার ফলে মনোযোগ আসতে শুরু করে এবং ঘুমের অনুভূতি কমে যায়। এছাড়াও, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ও সময় ব্যবস্থাপনার জন্য মোবাইল অ্যাপ বা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করাও কার্যকর হতে পারে।
সুতরাং, একটি স্পষ্ট ও অনুসরণযোগ্য রুটিন গড়ে তুললে আপনি শুধু ঘুম এড়াতেই পারবেন না, বরং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ এবং ফলাফলও অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে।
৫. আলো ও বসার স্থান ঠিক করুন
পড়ার সময় ঘুম এড়াতে আলো এবং বসার স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অল্প আলো বা খুব উজ্জ্বল আলো—দুয়েরই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে মস্তিষ্কের ওপর। যখন আলো খুব কম হয়, তখন চোখের উপর চাপ পড়ে এবং মাথা ঝিমঝিম করতে শুরু করে, ফলে ঘুম চলে আসে। অন্যদিকে, খুব বেশি উজ্জ্বল আলোও চোখকে ক্লান্ত করে তোলে। তাই একটি ব্যালান্সড, নরম এবং চোখের জন্য আরামদায়ক আলো বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
পড়ার সময় প্রাকৃতিক আলো সবচেয়ে উপযোগী। দিনের বেলায় জানালার পাশে বসে পড়া গেলে তা চোখ ও মস্তিষ্ক—দুয়ের জন্যই উপকারী। রাতে পড়ার সময় হালকা হলুদ রঙের LED টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মনোযোগ বাড়ায় এবং ঘুমের ইঙ্গিত কমায়। আলো যেন সরাসরি বইয়ের ওপর পড়ে, চোখে না পড়ে—এটি নিশ্চিত করতে হবে।
আলোর পাশাপাশি বসার স্থানও হতে হবে উপযুক্ত। আরামদায়ক চেয়ারে সোজা হয়ে বসার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিছানায় বা শোয়ার অবস্থায় পড়লে শরীর বিশ্রামের জন্য সংকেত পায়, ফলে ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করে পড়ার একটি অভ্যাস গড়ে তুললে তা মনোযোগ ধরে রাখতে এবং ঘুম প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সুতরাং, সঠিক আলো এবং আরামদায়ক কিন্তু মনোযোগবর্ধক বসার স্থান নিশ্চিত করতে পারলে আপনি পড়ার সময় ঘুম এড়াতে পারবেন এবং দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।
৬. পড়ার আগে কী খাবেন?
পড়ার সময় মনোযোগ ধরে রাখতে এবং ঘুম এড়াতে হলে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। অনেকেই পড়ার আগে ভারী খাবার খেয়ে নেন, যা হজমে সময় নেয় এবং শরীরকে অলস করে তোলে। ফলে পড়তে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুম চলে আসে। আবার অনেকে না খেয়ে পড়তে বসেন, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় এবং মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগা শুরু হয়। এই দুই অবস্থাই মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় এবং ঘুমের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।
আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির ১০ টি টিপস
সঠিকভাবে প্রস্তুত হতে চাইলে পড়ার আগে হালকা কিন্তু পুষ্টিকর কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন: একটি কলা, কিছু বাদাম, এক কাপ গ্রিন টি, দই বা একটি স্যান্ডউইচ। এসব খাবারে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও প্রোটিন শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয় এবং মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে। চিনি ও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ না করাই ভালো, কারণ তা শরীরকে সাময়িক উদ্দীপনা দিলেও পরবর্তীতে ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
পানিশূন্যতা থেকেও ঘুমের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাই পড়ার আগে ও মাঝে মাঝে এক গ্লাস পানি পান করাও দরকারি। পানি শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে এবং মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। পানি ছাড়া যদি কিছু পান করতে চান, তবে হালকা গরম লেবু পানি বা হারবাল চা বেছে নিতে পারেন।
সুতরাং, পড়ার আগে ভারী খাবার এড়িয়ে হালকা ও পুষ্টিকর কিছু গ্রহণ করলে আপনি আরও বেশি সময় মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন এবং ঘুমের সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।
৭. মনোযোগ ধরে রাখার মেন্টাল ট্রিকস
পড়াশোনার সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখা। বিশেষ করে যারা ঘন ঘন ঘুমিয়ে পড়েন, তাদের জন্য এই সমস্যা আরও তীব্র হয়। মনোযোগ ধরে রাখার জন্য শুধু বাহ্যিক পরিবেশ বা খাদ্যাভ্যাসই নয়, মানসিক কৌশল বা মেন্টাল ট্রিকসও অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। সঠিকভাবে চিন্তা ও মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করলে পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
প্রথমে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—যেমন, “আমি আজ এই অধ্যায়টি শেষ করব।” লক্ষ্য থাকলে মন একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে কাজ করে, ফলে একঘেয়েমি আসে না। দ্বিতীয়ত, বড় বিষয়বস্তুকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ুন। এতে মনে হয় কাজটি সহজ, ফলে আতঙ্ক বা ক্লান্তি আসে না এবং মনোযোগ বজায় থাকে।
তৃতীয়ত, পড়ার মাঝে মাঝে ৫-১০ মিনিট বিরতি নিন। এই “Pomodoro Technique” এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়, যেখানে ২৫ মিনিট পড়া ও ৫ মিনিট বিরতির মাধ্যমে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। এছাড়াও নিজেকে মাঝে মাঝে পুরস্কৃত করতে পারেন—যেমন, একঘণ্টা পড়ার পর পছন্দের গান শোনা বা একটি ছোট স্ন্যাকস খাওয়া। এটি মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ ঘটায় এবং পড়ার আগ্রহ বাড়ায়।
আরো পড়ুন: বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন ?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—নেতিবাচক চিন্তা বা ব্যর্থতার ভয়কে দূরে রাখা। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্যসহকারে এগিয়ে গেলে, শুধু ঘুমই নয়—মনোযোগহীনতাও দূর হবে এবং আপনার পড়াশোনার মান অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে।
🔚 উপসংহার ও পরামর্শ
পড়তে বসলে ঘুম এসে যাওয়া একটি সাধারণ কিন্তু সমাধানযোগ্য সমস্যা। এটি আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস, পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক প্রস্তুতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। শুধু ইচ্ছাশক্তি দিয়েই নয়, বরং পরিকল্পিত রুটিন, উপযুক্ত পরিবেশ, সঠিক পুষ্টি ও কিছু মানসিক কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ঘুম আসা মানেই আপনি অলস নন, বরং হয়তো আপনার দেহ বা মন প্রস্তুত নয়। তাই সচেতনভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে কাজ করলে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।
আপনার যদি ঘুম ও মনোযোগের সমস্যার কারণে পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি হয়, তাহলে প্রথমেই নিজেকে দোষারোপ না করে কারণগুলো খুঁজে বের করুন। এরপর উপরের ৭টি টিপস ধাপে ধাপে প্রয়োগ করুন এবং নিজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন। মনে রাখবেন, অভ্যাস পরিবর্তনে সময় লাগে, কিন্তু ধৈর্য ও অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই সফল হবেন।
আরো পড়ুন: এসএসসি শেষ ?এবার কি করবেন- জেনে নিন একটি পরিপূর্ণ গাইড
সবশেষে পরামর্শ হচ্ছে—নিজের প্রতি সদয় হোন, পড়াকে বোঝার চেষ্টা করুন, এবং ঘুম বা মনোযোগের সমস্যাকে হালকাভাবে না নিয়ে, একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখুন। পড়াশোনা শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, এটি আত্মউন্নয়নেরও পথ—সেই পথে জেগে থাকা এবং জাগিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url