OrdinaryITPostAd

২০২৫ সালে ফেসবুক নিরাপত্তা: হ্যাক ঠেকাতে এই ৫টি সেটিংস এখনই চালু করুন

ফেসবুক হ্যাক ঠেকাতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস

আজকের ডিজিটাল যুগে সামাজিক মিডিয়া আমাদের জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে, এবং এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি হলো ফেসবুক। এটি শুধু আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, মেসেজ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভাগ করার একটি প্রধান জায়গা। কিন্তু, এর popularity এর সাথে সাথে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে। আপনি জানেন কি, হ্যাকাররা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চুরি করে আপনার প্রাইভেট 



তথ্য চুরি করতে পারে, আপনার বন্ধুদের সাথে প্রতারণা করতে পারে অথবা আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মুখে ফেলতে পারে?

তবে চিন্তা করবেন না! আপনি আপনার অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সেটিংস ব্যবহার করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব পাঁচটি কার্যকরী সেটিংস নিয়ে, যা ফেসবুক হ্যাক হওয়া ঠেকাতে সাহায্য করবে। আপনি এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকবে নিরাপদ এবং হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে দূরে।

তাহলে, চলুন জেনে নিই কীভাবে এই সেটিংসগুলি আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে পারে।

সূচিপত্র

  1. ভূমিকা: ফেসবুক নিরাপত্তার গুঞরুত্ব
  2. ১. ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন
  3. ২. লগইন এলার্ট চালু রাখুন
  4. ৩. অ্যাকটিভ সেশন নিয়মিত চেক করুন
  5. ৪. অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পারমিশন পর্যালোচনা করুন
  6. ৫. শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  7. অতিরিক্ত টিপস
  8. উপসংহার

ভূমিকা: ফেসবুক নিরাপত্তার গুরুত্ব

বর্তমানে ফেসবুক আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এটি সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিছু সহজ সেটিংস ব্যবহার করে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিং থেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।

১. ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন

ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করলে কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জেনে গেলেও মোবাইল কোড ছাড়া অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না। এটি ফেসবুক নিরাপত্তার সবচেয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা।

২. লগইন এলার্ট চালু রাখুন

যখন কেউ অজানা ডিভাইস বা লোকেশন থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করবে, ফেসবুক আপনাকে তা জানাবে। এভাবে হ্যাকার শনাক্ত করা সহজ হয়।

৩. অ্যাকটিভ সেশন নিয়মিত চেক করুন

Settings > Security and Login-এ গিয়ে দেখে নিন কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়েছে। অপরিচিত কিছু দেখলে লগআউট করুন।

৪. অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পারমিশন পর্যালোচনা করুন

অনেক অ্যাপস ও সাইট আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক্সেস নেয়। মাঝে মাঝে এগুলো রিভিউ করে অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।

৫. শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

পাসওয়ার্ড যেন সহজে অনুমানযোগ্য না হয় এবং অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন মিশিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন।

অতিরিক্ত টিপস

  • অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ফিশিং মেসেজ ও ইমেইল থেকে সতর্ক থাকুন।
  • পাবলিক কম্পিউটারে ব্যবহার শেষে লগআউট করুন।

উপসংহার

সতর্কতা ও কিছু নিরাপত্তা সেটিংস অনুসরণ করলেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আজ থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসগুলো চালু করুন এবং নিরাপদ থাকুন।

১. ভূমিকা: ফেসবুক নিরাপত্তার গুরুত্ব

বর্তমান যুগে ফেসবুক শুধুমাত্র একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, বরং এটি ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং ব্যবসায়িক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। মানুষ তাদের ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, কাজের আপডেট, পারিবারিক খবর এমনকি আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যও ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করে থাকে।

এই বিপুল তথ্যভাণ্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে তা হ্যাকারদের জন্য একটি সোনার খনিতে পরিণত হতে পারে। একটি হ্যাকড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, পরিচয় জালিয়াতি, স্প্যামিং, ব্ল্যাকমেইল বা প্রতারণার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারীরা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা সেটিংস নিয়ে সচেতন নয়। ফলে তারা সহজেই হ্যাকিংয়ের শিকার হন। অথচ কিছু সাধারণ এবং সহজলভ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই এসব ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

এই প্রবন্ধে আমরা এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক নিরাপত্তা সেটিংস নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলো প্রয়োগ করলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং আপনি নিরাপদে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন।

১. ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন

ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (Two-Factor Authentication বা 2FA) হলো একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় দ্বিতীয় স্তরের যাচাইকরণ যোগ করে। এতে শুধু পাসওয়ার্ড জানলেই কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না—প্রয়োজন হবে আরও একটি কোড যা আপনার মোবাইল বা নির্ধারিত অ্যাপ থেকে পাঠানো হয়।

ফেসবুকে 2FA চালু করলে, কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড জেনেও ফেসবুকে প্রবেশ করতে চায়, তখন তাকে একটি বিশেষ কোড দিতে হবে যা কেবলমাত্র আপনার মোবাইল ফোনে পাঠানো হয় বা অ্যাথেন্টিকেটর অ্যাপে জেনারেট হয়। এই পদ্ধতি আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

কীভাবে ফেসবুকে 2FA চালু করবেন?

  1. ফেসবুকে লগইন করুন।
  2. Settings > Security and Login এ যান।
  3. Use two-factor authentication অপশন নির্বাচন করুন।
  4. পছন্দমতো ভেরিফিকেশন পদ্ধতি বেছে নিন — যেমনঃ SMS কোড অথবা Authenticator App (যেমন Google Authenticator)।
  5. নির্দেশনা অনুসরণ করে সেটআপ সম্পন্ন করুন।

কেন 2FA গুরুত্বপূর্ণ?

  • পাসওয়ার্ড চুরি হলেও হ্যাকার লগইন করতে পারবে না।
  • অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
  • ফেসবুক নিরাপত্তা রেটিং বাড়ে এবং সতর্কতা বৃদ্ধি পায়।

সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করা এখন সময়ের দাবি।

২. লগইন এলার্ট চালু রাখুন

লগইন এলার্ট বা Login Alerts ফেসবুকের একটি কার্যকর নিরাপত্তা ফিচার, যা কেউ যখন নতুন ডিভাইস বা ব্রাউজার থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করে, তখন আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেয়। এটি আপনার অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত প্রবেশ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

যদি আপনি এমন একটি নোটিফিকেশন পান যা আপনার পরিচিত নয়, তাহলে আপনি সাথে সাথে সেই সেশনে লগআউট করতে পারবেন এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিরাপত্তা বাড়াতে পারবেন।

কীভাবে লগইন এলার্ট চালু করবেন?

  1. ফেসবুকে লগইন করুন।
  2. Settings > Security and Login এ যান।
  3. Get alerts about unrecognized logins অপশন খুঁজে বের করুন।
  4. এটি চালু করুন এবং কোন কোন মাধ্যমে (Facebook Notification, Email, SMS) এলার্ট পেতে চান তা নির্বাচন করুন।
  5. পরিবর্তনগুলো সংরক্ষণ করুন।

এই সেটিংস চালু রাখার উপকারিতা

  • কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলে আপনি তা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন।
  • প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ (যেমনঃ পাসওয়ার্ড চেঞ্জ, সেশন লগআউট) দ্রুত নিতে পারবেন।
  • ফেসবুক ব্যবহারে মানসিক নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।

স্মার্ট সিকিউরিটির অংশ হিসেবে লগইন এলার্ট চালু রাখুন এবং অচেনা অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে নিজের অ্যাকাউন্টকে রক্ষা করুন।

৩. অ্যাকটিভ সেশন নিয়মিত চেক করুন

ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে, কখন এবং কোন ডিভাইস দিয়ে লগইন করা হয়েছে তা Active Sessions বা “Where You're Logged In” নামে সংরক্ষণ করে রাখে। এই তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করে আপনি জানতে পারবেন কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো স্থান বা ডিভাইস থেকে অ্যাক্সেস করছে কি না।

অনেক সময় ব্যবহারকারীরা নিজের অজান্তেই অন্যের ডিভাইসে ফেসবুক লগইন করে রেখে দেন, যা পরবর্তীতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আবার হ্যাকারদের ক্ষেত্রেও অ্যাকটিভ সেশন আপনাকে সতর্ক হওয়ার সুযোগ দেয়।

কীভাবে অ্যাকটিভ সেশন চেক করবেন?

  1. ফেসবুকে লগইন করুন।
  2. Settings > Security and Login এ যান।
  3. Where You're Logged In নামে একটি সেকশন দেখবেন।
  4. এখানে আপনার অ্যাকাউন্ট বর্তমানে কোন কোন ডিভাইস ও অবস্থান থেকে লগইন করা আছে তা দেখা যাবে।
  5. যদি কোনো অজানা ডিভাইস বা লোকেশন দেখেন, তাহলে Log Out অপশন ক্লিক করে সেই সেশন বন্ধ করে দিন।

এই অভ্যাসের উপকারিতা

  • অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেছে কি না, তা দ্রুত জানতে পারবেন।
  • অপ্রয়োজনীয় সেশন বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
  • ব্যক্তিগত তথ্য ও মেসেজ সুরক্ষিত থাকে।

সপ্তাহে অন্তত একবার অ্যাকটিভ সেশন চেক করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি আপনার ফেসবুক নিরাপত্তায় ছোট কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

৪. অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পারমিশন পর্যালোচনা করুন

ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে সাইন আপ বা লগইন করার সময় আমরা অনেক সময় না বুঝেই বিভিন্ন অনুমতি (Permission) দিয়ে থাকি। এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলো আপনার প্রোফাইল তথ্য, ইমেইল, বন্ধু তালিকা, এমনকি পোস্ট ও মেসেজ পর্যন্ত অ্যাক্সেস করতে পারে।

যদি কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দুর্বল হয় বা হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে আপনার ফেসবুক ডেটাও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের পারমিশন রিভিউ করা অত্যন্ত জরুরি।

কীভাবে ফেসবুকে অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পারমিশন পর্যালোচনা করবেন?

  1. ফেসবুকে লগইন করুন।
  2. Settings > Apps and Websites অপশনে যান।
  3. এখানে আপনি যেসব অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে ফেসবুক দিয়ে লগইন করেছেন, তাদের তালিকা দেখতে পাবেন।
  4. প্রতিটি অ্যাপের পাশে View and Edit অপশন থাকবে — সেখান থেকে কোন কোন তথ্য শেয়ার করছেন তা চেক করুন।
  5. যেসব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট আর ব্যবহার করছেন না, সেগুলো Remove করে দিন।

এই সেটিংস পর্যালোচনার উপকারিতা

  • ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকে।
  • অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাক্সেস বন্ধ করা যায়।
  • আপনার অ্যাকাউন্টের কন্ট্রোল আপনার হাতেই থাকে।

মনে রাখবেন, যত বেশি অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ফেসবুক অ্যাক্সেস পায়, তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতি মাসে অন্তত একবার এই পারমিশনগুলো পর্যালোচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ।

৫. শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো একটি শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। অধিকাংশ ব্যবহারকারী সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন যা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে। কিন্তু এটি আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সাধারণত এমন একটি পাসওয়ার্ড হয় যা কমপ্লেক্স, দীর্ঘ এবং অনুমান করা কঠিন। ইউনিক পাসওয়ার্ড মানে, আপনি প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কীভাবে তৈরি করবেন?

  • পাসওয়ার্ডে ছোট বড় অক্ষর, সংখ্যা এবং স্পেশাল চিহ্ন (যেমন: @, #, $, %) মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
  • কমপক্ষে ১২টি অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • পাসওয়ার্ডে নাম, জন্ম তারিখ বা সহজ শব্দ ব্যবহার করবেন না।
  • পাসওয়ার্ড তৈরির সময় আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (যেমন: পোষা পশুর নাম) ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করে আপনি শক্তিশালী এবং নিরাপদ পাসওয়ার্ড তৈরি ও সংরক্ষণ করতে পারেন।

ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহারের গুরুত্ব

  • একই পাসওয়ার্ড যদি একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়, তাহলে একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে অন্য অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
  • প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা ঝুঁকি কমায়।
  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড অ্যাকাউন্টের প্রতি হ্যাকারদের আক্রমণ কঠিন করে তোলে।

কীভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবেন?

  1. ফেসবুকে লগইন করুন।
  2. Settings > Security and Login এ যান।
  3. Change Password অপশনে ক্লিক করুন।
  4. নতুন শক্তিশালী পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান এবং নিশ্চিত করুন।
  5. আপনার নতুন পাসওয়ার্ড নিরাপদে সংরক্ষণ করুন।

পাসওয়ার্ড হলো আপনার অ্যাকাউন্টের প্রথম সুরক্ষা স্তর। এটি যত শক্তিশালী হবে, আপনার অ্যাকাউন্ট তত বেশি সুরক্ষিত থাকবে। তাই একটি শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং সময়-সর্বসময় এটি পরিবর্তন করুন।

১. অতিরিক্ত টিপস

ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস অনুসরণ করা যেতে পারে, যেগুলো আপনার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে। এগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর সেশনটি লগআউট করুন

যখন আপনি পাবলিক প্লেসে বা অস্থায়ী ডিভাইসে লগইন করেন, তখন সেশনটি শেষ করার পর লগআউট করতে ভুলবেন না। এটি অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

২. পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ব্যবহার করুন

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, যা আপনার পাসওয়ার্ডগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করবে। এটি আপনাকে শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা মনে রাখা সহজ হবে না।

৩. অ্যাকাউন্ট রিকভারি অপশন চেক করুন

ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সঠিক রিকভারি অপশন যেমন ইমেইল, ফোন নাম্বার ও নিরাপত্তা প্রশ্ন সেট করে রাখুন, যাতে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে সহজেই পুনরুদ্ধার করা যায়।

৪. অ্যাকাউন্টের লগইন এলার্ট ফিচার ব্যবহার করুন

ফেসবুকের লগইন এলার্ট চালু রাখুন, যাতে কোনো অচেনা ডিভাইস বা লোকেশন থেকে যদি লগইন করা হয়, তাহলে আপনি দ্রুত জানতে পারেন এবং ব্যবস্থা নিতে পারেন।

৫. প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করুন

ফেসবুকের প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করুন, যাতে আপনার পোস্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্য শুধুমাত্র আপনার নির্বাচিত বন্ধুরা দেখতে পারেন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি থেকে আপনার প্রোফাইলকে সুরক্ষিত রাখবে।

এই অতিরিক্ত টিপসগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।

১. উপসংহার

ফেসবুক নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। তবে, সাধারণ কিছু নিরাপত্তা সেটিংস এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করা বিভিন্ন সেটিংস, যেমন ডুয়েল ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, লগইন এলার্ট, অ্যাকটিভ সেশন চেক, অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পারমিশন পর্যালোচনা, এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে সক্ষম হবেন।

এছাড়া, কিছু অতিরিক্ত টিপস যেমন সেশন লগআউট করা, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার, অ্যাকাউন্ট রিকভারি অপশন চেক করা, এবং প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করা, আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।

আপনি যদি এই নিরাপত্তা পদক্ষেপগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করেন, তবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে। অতএব, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শিথিলতা না রেখে, সেগুলো পর্যাপ্ত মনোযোগ দিয়ে পরিচালনা করুন। এটি শুধু আপনার তথ্যকে সুরক্ষিত রাখবে না, বরং আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও রক্ষা করবে।

অতএব, ফেসবুকের নিরাপত্তা সেটিংস এবং পরামর্শ অনুসরণ করা এখনই শুরু করুন, এবং আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪